জসিম উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অন্তর্গত চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু ধর্ষনের মামলা রুজুর ১২ ঘন্টার ভিতরে একমাত্র আসামী মোহাম্মদ ফরাজীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে গলাচিপা থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক হাফিজিয়া মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলার উত্তর চরবিশ্বাস হাদিউল উম্মা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীকে আসামী করে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শনিবার গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক ছিল।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস হাদিউল উম্মা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী ঘটনার দিন (২৬ জুন ২০১৯) সকালে ফজরের নামাজের পর আরো সাতজন শিশুকে নিয়ে শ্রেণি কক্ষে পড়াতে বসে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজী শিশুটিকে কথা শোনার জন্য তার (শিক্ষকের) ঘরের সামনের রুমে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ফ্লোরে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পরে শিশুটি কান্নাকাটি করে দৌড়ে শ্রেণি কক্ষে আসলে একই শ্রেণি কক্ষে শিশুটির বড় বোন জানতে চাইলে লজ্জায় কিছুই বলেনি। পরে ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি গেলে মায়ের কাছে সব খুলে বলে। এর পরে এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর আজ শনিবার গলাচিপা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আখতার মার্শেদ বলেন, ‘শিশুটিকে নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আজ শনিবার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটির মডিকেল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একমাত্র আসামী মোহাম্মদ ফরাজীকে মামলা রুজুর ১২ ঘন্টার ভিতরে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামীকে আগামীকাল সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।