আল কাদরী কিবরীয়া সবুজ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে ছোট বড় হাট বাজার সহ জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র মাংস বিক্রেতাদের স্থান। কখনো রাস্তার উপর, কখনো পতিত জমিতে এমন কি নিজ দোকানের সামনেই পরীক্ষা নিরিক্ষা বিহীন অবস্থায় গরু খাসী জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে উচিৎ মুল্যে। ভোক্তা আজ সকল পন্যে যেমন ভোক্তাধিকার হারিয়েছে তেমনি মাংস প্রিয়াসীদের ভোক্তাধিকার হারিয়ে গেছে অনেক আগে। উচিৎ মুল্যে ভালো জিনিস পাওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে গোটা জেলা জুড়ে।
গাইবান্ধায় বাংলাভিশন প্রতিনিধি আতিকুর রহমান আতিক বাবু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন যে,গাইবান্ধা শহরের স্বনামধন্য হর্কাস মার্কেটে যেন ছুটির দিন গুলোতে বসে সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলা, অথচ এই মিলন মেলায় এখন অন্য ধর্মের অনেকে আর আসতেই চাচ্ছে না, আর এই না আসার মুল কারন হয়ে দাড়িয়েছে গরু জবাই করার স্থান থাকা সত্বেও বাজারের মুল রাস্তার উপর গরু জবাই করা। এত বড় গরু কিংবা খাসি রাস্তার উপর জবাই করা হচ্ছে প্রশাসন কি দেখছে না, অথচ তারাও তো নিয়মিত আসছে এই বাজারে। নাকি প্রশাসনের কর্তাবাবুরা প্রতিটি গরু কিংবা খাসি জবাই হলেই রেসিও অনুযায়ি মুল্য ছাড়াই দু, চার কেজি মাংস পাচ্ছেন বাড়িতে বসেই? তাই পরিবেশ বিনষ্টকারীদের সহযোদ্ধা হচ্ছেন তারা।
এ যদি হয় জেলা শহরের অবস্থা তাহলে উপজেলা গুলোসহ গ্রাম গঞ্জের বাজারের ভোক্তারা নিজেদের অধিকার হারিয়েছে অনেক আগেই এটাই তার বড় প্রমাণ।
জেলা ও উপজেলাসহ সকল স্থানে পশু জবাইয়ে সকল ধরণের আইনগত নিয়ম কানুন অনুসরণ পূর্বক পশু জবাইয়ে ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টরাসহ জবাইকারীদের প্রতি অনুরোধ জানাই। রোগ বালাই রোধ করি সুখী সমৃদ্ধি ও সুস্থ্য সবল দেশ গড়ি বাংলাদেশ।
