এসএম হাসান আলী বাচ্চু, তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা:
তালায় সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো উপজেলা আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যান,ভাইচ চেয়াম্যান বাছাই কার্যক্রম। উপজেলা চেয়াম্যান হিসাবে ৩ জনের নাম সমঝোতায় আসলেও পুরুষ ভাইচ চেয়ারম্যান সমঝোতার ভিত্তিতে নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোকে কেন্দ্র করে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এতে উভয়পক্ষের অন্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ ।
জানা গেছে, পুর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল রোববার তালা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেলা ১১ টায় দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় । এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার ফিরোজ আহমেদ।
তিনি জানান চেয়ারম্যান পদে আমরা তিনটি নাম সিলেকশন দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছি। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়ে শুরু হয় হাঙ্গামা। এই পদে ছয় প্রার্থীর দুইজন ভাইচ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১জন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইকতিয়ার হোসেন ও অপরজন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমান এর সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি । তাদের কার নাম প্রথমে লিখে কেন্দ্রে পাঠানো হবে, না হবে তা নিয়ে শুরু হয় হৈ হুল্লোড়,চেয়ার নিয়ে মারপিট, ভাংচুর ও এলো পাতাড়ী কিল ঘুষি মারতে থাকে । তুমুল হট্টগোলের মধ্যে মারপিট শুরু হলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।পুলিশ একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে লাঠিচার্জ শুরো করে । এর ফলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা পন্ড হয়ে যায়।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, আজকের ঘটনা ছিল অনাকাংখিত। সব কিছু ভোটে ছেড়ে দিলে এসব ঘটনা ঘটতো না। সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যেই শেষ হয়েছে আজকের সভা।
উল্লেখ্য যে, গত গত শনিবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন ভোটাভুটির মাধ্যমে হবে কি হবে না এই বির্তকের জেরে তালার কাউন্সিল অধিবেশন পন্ড হয়ে যায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম টানা প্রায় ৩ ঘন্টা তারা নিজেদের গাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। রোববার ভোটাভুটি হবে এই ঘোষনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি, হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।