মোঃ আরিফুর রহমান ঝন্টু, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের রামানাথসেন গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়,আজ ২০ জানুয়ারী ২০১৯ খ্রীঃ তারিখে দুপুর ৩ টার সময় শ্বশুর শাহজাহান মৃধা, শ্বাশুরী রাসিদা বেগম,ননদ নার্গিস বেগম ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে বেপরোয়া ভাবে মারধর করে গৃহবধু ফারজানাকে, এবং দুই বছর বয়সী একমাত্র কোলের শিশু সন্তানটিকে জোরপূর্বক রেখে দিয়ে ঘর থেকে বেড় করে দেয় বলে জানায় গৃহবধু ফারজানা। ফারজানা আরো বলেন,আজ থেকে ৫ বছর পূর্বে সরা সরিয়ত মতে আমার বাবা প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে আমারে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য আমার শ্বশুর শ্বাশুরী ও ননদ চাপ দিতে থাকে। আমার স্বামী সায়েম মৃধা নিজে কিছু না বললেও তাদেরকেও নিশেধ করে না। সুযোগ পাইয়া তারাও প্রায় প্রতিদিন আমার উপর নির্যাতন করে। আজ দুপুরে আমারে তাহারা মারধর করতে থাকলে আমি চিৎকার করি,তখনও আমার স্বামী দাড়াইয়া দেখছে। কিছু বলে নাই। তারপর আমার কোলের শিশুটিকে তারা জোর করে আমার কোল থেকে কেড়ে নিয়া আমারে ঘর থেকে বাইর কইরা দেয়। তারপর দশমিনা-আলীপুরা রাস্তায় চলাচলরত অটো গাড়ীর এক যাত্রী সবুজ আমারে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করে এবং আমার বাবারে খবর দিলে সে আমারে চিকিৎসা করায়। এখন পর্যন্ত আমারে কেউ দেখতে আসেনাই। আমার সন্তানকে ফেরৎ চাই কান্না বিজড়িত কন্ঠে এভাবেই বলছিল নির্যাতিতা গৃহবধু ফারজানা।
