জসিম উদ্দিন, ষ্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কতৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ৫ জন জয়িতাদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট সম্মাননা প্রদান করা হয়। সার্বিক সহযোগিতায় ব্রাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচী গলাচিপা। সোমবার সকাল ১০ টায় গলাচিপা উপজেলা পরিষদ অফিসার্স ক্লাব ভবনে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শামছুজ্জামান লিকন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মজর্তা মোসা. শিরিন সারমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্হিত ছিলেন মো. ফিরোজ আলম ম্যানেজার ব্রাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচী গালচিপা। এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, আজ নারীরা সমাজে অবহেলিত নয় সে বিষয়ে অবদান রেখে গেছেন বেগম রোকেয়া। বেগম রোকেয়া নারী নির্যাতন প্রতিরোধে যে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে গেছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। নারীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, বাল্য বিবাহ আজ সমাজের একটা ব্যাধি হয়ে দাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড পরিচালনার আহবান জানান যাতে করে কোন ক্রমে বাল্য বিবাহ না হতে পারে। যে ৫ জন নারীকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তারা হল। ১/ বোয়ালিয়ার মোসা. বিউটি বেগম, স্বামী -মৃত. রহুল আমিন শিকদার- তার অবদান হল, অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন কারী নারী। ২/ পৌরসভার মোসা. সাহিদা বেগম, স্বামী- মো.কবির হোসেন, তার অবদান হল, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী। ৩/ মাটি ভাঙ্গার রানী বেগম, পিতা মৃত.- নুরুল হক হাওলাদার, তার অবদান হল, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী, ৪/ চরখালীর মোসা. সাহিদা বেগম, স্বামী- কালাম মুন্সী, তার অবদান হল, সফল জননী, ৫/ পৌরসভার গৌরি রানী শীল, স্বামী- বাবুল শীল, তার অবদান হল, শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন কারী যে নারী। এ সময় আরও উপস্হিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা ওয়াহিদ সহ বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাদিক বৃন্দ।
