জসিম উদ্দিন, গলাচিপা, পটুয়াখালী সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মাদ্রাসা ছাত্র জিহাদ হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন করেছে থানা পুলিশ। পারিবারিক বিরোধের জেরে দশ বছরের শিশু জিহাদকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ খালের কচুরিপানার নিচে গুম করার চেষ্টার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জিহাদের চাচাতো ভগ্নিপতি সোহাগ সর্দার। শনিবার সকালে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শানু কুমার মন্ডল এর আদালতে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে একমাত্র আসামী সোহাগকে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে গলাচিপা থানা সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আখতার মোর্শেদ জানান, গত তিন বছর আগে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের জিনতলা গ্রামের জিহাদের চাচা মো. জলিল মোল্লার মেয়ে সীমা আক্তারের সঙ্গে রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের মামুনতক্তি গ্রামের মো. বাবুল সর্দারের ছেলে সোহাগ সর্দারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই সোহাগের সংসারে আর্থিক অনটন দেখাদিলে স্ত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে মনমালিন্য শুরু হয়। এক পর্যায় সীমা বাপের বাড়ি চলে গেলে এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সোহাগ এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়ে উত্তেজিত হয়ে সীমাকে এই বলে হুমকি দেয় যে, ‘তোর বংশ নির্বংশ করবো।’ এর কয়েক দিন পরই সোহাগ পূর্বপরিকল্পিত ভাবে স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে চাচাতো শ্যালক জিহাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার আওয়া সাফিয়া কেরামতিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে ঝাল মুড়ি খাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে গুরিন্দা খালের নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। কিছু সময় অপেক্ষা করে জিহাদকে গলাটিপে হত্যা করে গুরিন্দা খালের জনৈক হাজী শাহজাহানের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে খালের পূর্ব পারে লাশ কচুরিপানার নিচে চাপা দেয় । এ সময় জিহাদের জামা-কাপড়ও পাশেই কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরে আসামীর স্বীকার উক্তি মোতাবেক তাকে নিয়ে গিয়ে জিহাদের জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার নাম্বার – ২২/তারিখ- ২৯-১১-২০১৮ইং,ধারা-৩০২/২০১
