আল কাদরী কিবরীয়া সবুজ, গাইবান্ধা সংবাদদাতা
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে রংপুর চিনিকলে কোটি টাকা মূল্যের যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গ্যারেজে অযত্নে পড়ে থেকে মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ১৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরে চিনি করপোরেশন থেকে দুই বছর আগে পাঠানো ১০ টি ট্রাকের সবগুলোও এখন অচল।
রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জালাল উদ্দিন দুলাল সাংবাদিক বলেন, ‘এই গাড়িগুলো মিল পর্যন্ত এসেছে বটে কিন্তু গাড়িগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারিনি। অকেজো গাড়িগুলো এইভাবেই গ্যারেজে পড়ে আছে।’ গেলো আগস্টে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাছ থেকে এক সঙ্গে চার মাসের বেতনের স্বাক্ষর নেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ শতকরা ১৬ টাকা করে কেটে নেয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
তারা জানান, ‘চার মাসের বেতন আমাদের কাছ থেকে সই করে নিয়ে, ১৬% কেটে নিয়ে বেতন দিয়েছে। এই টাকাটা কোন ফান্ডে, কোথায় গেল আমরা জানতে চাই
প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিলের লোকসান ১৭৫ কোটি টাকা। আর ২৬৮ কোটি টাকার ঋণের বোঝা টানছে রংপুরের এই সুগারমিল। এই অবস্থায় মিলটি রক্ষায় প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলছে। কিন্তু মিলের শীর্ষ কর্মকর্তা মিলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘লোকশান কাটিয়ে মিলটিকে লাভজনক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’
গাইবন্ধা জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমা সাংবাদিকদের বলেন, ‘উৎপাদনমুখী করা জন্যে সরকার থেকে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে কিছু প্রনোদনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে এক হাজার নয়শ’ সতের একর জমি নিয়ে ১৯৫৬-৫৭ সালে যাত্রা শুরু করে রংপুর চিনিকল। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৭৫১ জন শ্রমিক-কর্মচারি-কর্মকর্তা রয়েছেন।