এসএম হাসান আলী, বাচ্চু,তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা:
‘গলায় নিয়ে ফাঁসির দড়ি, চালাব না আমার গাড়ি’- স্লোগানে রাজপথ দখল করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে খুলনা-পাইকগাছা রুটে সকল গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে তালা-কপিলমুনি -পাইকগাছা-কয়রার সাধারণ জগণন,সরকারী -বেসরকারী চাকুরীজীবি,স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রী দের । বিশেষ করে ধর্মঘটের বিষয় না জেনে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা যাত্রী এবং বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। ধর্মঘটের কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে না যাওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৭ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় পালিত হচ্ছে ধর্মঘট। রোববার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
খুলনা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, ঢাকা থেকে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তাদের কিছু জানানো হয়নি।
তালা কাউন্টারের ষ্টেটার বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে গাড়ি চলছে না। যারা ধর্মঘট চলাকালীন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আগাম টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাস-পরিবহন গুলো বন্ধ থাকায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, ভাড়াইচালিত মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছে। এর জন্য তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
সবুজ মোড়ল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন আজ ঢাকার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালা কাউন্টারে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন কীভাবে যাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
গ্রাম থেকে আসা অনেক যাত্রী জানান, হঠাৎ পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। না জেনে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারী কর্মকর্তা জানান, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন যে ধর্মঘট পালন করছে, তা অনৈতিক ও বেআইনি। ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার দায় তাদের নিতে হবে। শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের এ জন্য শাস্তির দাবি জানান তিনি।