নিয়ামুর রশিদ শিহাব, বিশেষ প্রতিনিধি
চলমান দুর্যোগ মৌসুমেও পটুয়াখালীর উপকূলে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান। অসাধু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইঞ্জিলচালিত ছোট ছোট ট্রলার নদীপথে চালিয়ে যাচ্ছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এর উপর নির্ভর হয়ে আছে পটুয়াখালীর চরাঞ্চলবাসী। এসব ট্রলারে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপারের কারণে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ নৌযান বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, সাগর উপকূলে জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দুর্যোগ মৌসুম। দুর্যোগ মৌসুম মানেই উপকূলবাসীর জন্য বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাস আতঙ্ক। আর দুর্যোগ মৌসুমে সব প্রকার অনিরাপদ নৌযান বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পটুয়াখালীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন নৌরুটে তা মানা হচ্ছে না। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পটুয়াখালীর আগুনমুখা, তেঁতুলিয়া, বুড়াগৌরাঙ্গ সহ উত্তাল নদীগুলোতে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট ট্রলার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব নৌকায় প্রতিনিয়ত যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন।
গলাচিপা থেকে চরমোন্তাজ, কোড়ালিয়া থেকে চালিতাবুনিয়া, চমোন্তাজ থেকে উলানিয়া, চরকাজল থেকে বদনাতলী এসব নৌরুটে ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল করছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ বিভিন্ন দ্বীপের সাথে সড়কপথে জেলা শহরের কোনো সংযোগ নেই। একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে নদীপথেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের।
রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ব্যাপারে অচিরেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
