এসএম হাসান আলী বাচ্চু,তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা:
তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রথখোলা বাজারের চায়ের দোকানি বখাটে পূজন খাঁ কর্তৃক স্থানীয় টুম্পা (১৮) নামে এক (মানসিক প্রতিবন্ধীকে) নিজ দোকানের চায়ের কেটলির গরম পানিতে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন ও তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল সেখানে গিয়ে মারাত্মক আক্রান্ত টুম্পার শারিরীক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এসময় ইউএনও টুম্পার পরিবারকে তার চিকিৎসার্থে ৪ হাজার টাকার অনুদান প্রদান ও অসুস্থ্য টুম্পাকে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পরামর্শ দেন।
ঘটনাস্থল থেকে ফিওে সাজিয়া আফরিন মেহেদী রাসেল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, টুম্পার শারিরীক অবস্থা খুব একটা ভাল না। তবে ঘটনার নায়ক পূজন খাঁ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসীসুত্রে জানায়, কানাইদিয়া গ্রামের ওয়াজেদ গাজীর মেয়ে মানষিক প্রতিবন্ধী টুম্পা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐ দোকানে গেলে বখাটে পূজন তার দোকানের চায়ের কেটলির গরম পানি ঢেলে দেয় টুম্পার শরীরে। এতে মারাত্মক যন্ত্রণায় কাতর টুম্পা শরীরের সেলোয়ার-কামিজ খুলে হাতে নিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় চিৎকার দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে বাড়িতে যায়।
পারিবারিক সূত্র জানায়,গরম পানিতে টুম্পার বুক ও পিট মারাত্মক ভাবে পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পরও সে বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ির বারান্দায় পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
টুম্পার মা জানায়,সাবালিকা পাগলী মেয়েকে নিয়ে তারা এখন মহাবিপদে রয়েছেন। দারিদ্রতার কারণে না পারছেন মেয়ের সুচিকিৎসা করাতে আবার না পারছেন চোখের সামনে সাবালিকা মেয়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সহযোগিতা প্রদান পরিবারটিকে খানিকটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে। স্থানীয়রা আরো জানায়,এর আগেও পূজন টুম্পাকে দু’দফা অনুরুপ পুড়িয়ে দিয়েছিল। তবে সেবারকার ঘটনা এতটা ভয়াবহ ছিলনা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে সংশ্লিষ্ট পূজন দোকান-পাঠ বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দারিদ্রতার সুযোগে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করতে টুম্পার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছে। এমনকি তাদেরকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে নানাভাবে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে।
