জসিম উদ্দিন, গলাচিপা, (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার উপবৃত্তি প্রদান করে আসছেন। কিন্ত কিছু অসাধু এজেন্ট ব্যাবসায়ীর কারনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষাতী’রা। পটুয়াখালীর গলাচিপাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাথী’দের সরকার কতৃক উপবৃত্তির টাকা প্রতি মাসে ১০০ টাকা। এ উপবৃত্তির টাকা নিভ’র করবে তার ক্লাশে গড় উপস্হিতি শতকরা ৮৫ ও বাষি’ক পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে শতকরা ৩৩ নম্বর এর উপর। তাহলে তারাই শুধু মাত্র উপবৃত্তির আওতাধীন হয়। প্রতি ৬ মাস অন্তর এ টাকা সরকার অভিভাবকদের মোবাইল নাম্বারে দিয়ে থাকেন। জানুয়ারী থেকে জুন পয’ন্ত ২০১৮ ইং এই ৬ মাসের টাকা প্রতি অভিভাবকদের মোবাইল নাম্বারে এসেছে। টাকা আসা এক অভিভাবক গলাচিপা পৌরসভার পানি শাখার কম’কতা’ ও সাবেক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো, আনিসুজ্জামান জানান, তার সন্তান আফিয়া বুশরা আনিশা এর উপবৃত্তির ৬০০ টাকা তুলতে প্রথমে জলিল টেলিকম এ জান সেখানে চান ২০ টাকা এরপরে জান পাল টেলিকমে সেখানে চান ১০ টাকা। সে জন্য তিনি টাকা না তুলে চলে আসেন। এভাবে প্রতি বিকাশ এজেন্ট দোকানে ১০ থেকে ৩০ টাকা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কম’কতা’ মিজানুর রহমান বলেন, আসলে উপবৃত্তির টাকা তোলার জন্য সরকার এমনিই একটা কমিশন দিয়ে থাকেন। তারপরও শিক্ষাথী’দের টাকা তুলতে গেলে বিভিন্ন এজেন্টদের দোকানে টাকা নেয় বলে অভিবাবকদের কাছ থেকে শুনেছি। এ রকম বাড়তি টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই।
