এসএম হাসান আলী বাচ্চু,তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
মরিচের ঝাঁলে অতিষ্ট তালা উপজেলাবাসী। কাঁচা মরিচ কিনছে সোনার মত ১০০-২০০গ্রাম। আর এই পরিমান কিনেই ঝাঁল থেকে বাঁচতে ভো দৌড়। বিষয়টি মধ্যবিত্ত আর নিম্ম-মধ্যবিত্তর নাভিশ্বাসের স¦াক্ষী হয়ে থাকছে।
তালা উপজেলার সকল কাঁচা বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের ঝালে আগুন লেগেছে। রেকর্ড গড়েছে দামে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৪/৫ গুন। উপজেলার সকল বাজারে পাইকারী পর্যায়ে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০টাকায়।
তালা উপজেলার তালা বাজার, পাটকেলঘাটা বাজার, শুভাশুনী বাজার, জেঠুয়া বাজার সহ ৮-১০ বাজার ঘুরে দেখা যায় কাঁচা মরিচের দাম অসহনীভাবে বেড়ে গেছে ।
বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির কারণে উৎপাদনকারী বিভিন্ন এলাকা থেকে কোনো মরিচ আসছে না। এজন্য বাজারে দেশী মরিচের কোনো সরবরাহ নেই। বাজারে যে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তার পুরোটাই বিদেশী। মানে ভারত থেকে আমদানিকৃত। বেশি দামে আমদানি করার কারণে দামও বেড়ে গেছে।তবে ভারতে প্রতি কেজি মরিচের খুচরা দাম ৮০-৯০ টাকা। আর সেই মরিচ সিমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ২৫০/৩০০ টাকা।
বাজারের খুচরা ব্যাবসায়ীরা জানান, আমাদের অঞ্চালে যে পরিমান কাঁচা মরিচ উৎপাদন হয় তার সিকি ফোটাও উৎপাদন হয়নি এইবার । তাই বাহির থেকে পাইকারী ব্যাসয়ীরা চড়া দামে কাঁচমরিচ ক্রয় করছে । সেই কাঁচা মরিচ আমরা তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে বিক্রয় করছি দাম তো বেশি হবেই ।
কাঁচা মরিচ কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান,আমার বয়স ৫০ বছর । এই ৫০ বছরের ভিতরে কাঁচা মরিচের দাম এতা বাড়তে দেখলাম । আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের কাঁচামিরচ কেনা দুষ্কার হয়ে পড়েছে ।
এব্যাপারে সরকারের কোন মনিটরিং না থাকাকে দায়ী করেছে ভূক্তভোগীরা। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের দাম কয়েক ধাপ বাড়িয়ে ইচ্ছেমত জনসাধারণের পকেট কাটছে।