মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী।
প্রতিদিন খবরের কাগজে মারামারি খুন রাহাজানি চলেই আসছে, মামালা করলেও প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায়, রেহাই পেয়ে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধী। তার’ই কোন ব্যতিক্রম ঘটনেনি, পূর্বশত্রুতার জের ধরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃতঃ আনসার আলী সর্দারের ছেলে কৃষক সেলিম সর্দারের উপর হামলা করে, একই এলাকার বিগত দিনের বিভিন্ন মামলার আসামীরা। ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮ মে ২০১৮ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সারে ১০ টার সময় কৃষক সেলিম সর্দার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মোল্লার ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানীর ব্যাপারে, লিখিত অভিযোগ’ই কাল হয়ে দ্বারায় সেলিম সর্দারের জীবনে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দরিদ্র কৃষক সেলিম সর্দার ও তার পরিবারবর্গ নিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তিতে জন্মেরর পর থেকেই বসবাস করে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার জমির উপর চোখ পরে বিভিন্ন মামলার আসামী ও একই গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা, ইউচুব মোল্লা ও তার দুই ছেলে কামাল, মিন্টু মোল্লা এবং তার পরিবার, আদম আলী মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা, মজিদ (ডাক্তা)’র ছেলে কাশেম (ডাক্তার) সহ ১০ থেকে ১১জন লোকন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হতদরিদ্র কৃষক সেলিম সর্দারের উপর অতর্কিত হামলা করলে প্রায় ১২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে ফিরে এসেছি কথা গুলো বলছিলো আহত কৃষক সেলিম সরদার। তিনি আরো বলেন, মাথার উপর ১১ টি শেলাই দিয়ে ডাক্তারবাবুরা কোনমতে বাচিঁয়ে তোলেন। বর্তমানে আমি মৃত্যু পথযাত্রী বলে আবেগ প্লুত হয়ে, প্রতিবেদককে জানিয়েছন নির্যাতিত ও তার পরিবারপরিজন।
এ বিষয়ে উপরোক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, সেলিম সরদার বাদী হয়ে, মোট ১১ জনকে আসামী করে ২০ মে ২০১৮ইং রোজ সোমবার গলাচিপা জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে আইনী সুবিচারের আশায় মামলা দ্বায়ের করেন বলেও জানান নির্যাতিত কৃষক সেলিম সর্দার ।
অন্যাদিকে পুরোঘটনা ধামা চাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে জানাল মোল্লা বাদী হয়ে, উল্টো আহত সেলিম সর্দার সহ চার জনকে আসামী করে মিথ্যা ও হয়রানীর উদ্দেশ্যে একই কোর্টে একটি কাউন্টার মামলা করে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে বড়চরকাজল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জেসমিন আক্তার প্রতিবেদককে জানান, কৃষক সেলিম সর্দারের উপর হামলার সময় আমি ঘটনা স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে উপস্থিত ছিলাম, তার উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, তাছারা পূর্বেও আসামীদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান এবং গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে চরকাজল ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান রুবেল মোল্লার কাছে জানতে চাইলে, মোবাইলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
