মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী।
ভাত এর উপর চাপ কমান বেশি করে “আলু জাতীয় খাবার খান” এ স্লোগান আমাদের জানা থাকলেও, আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী যেমন সত্যি, তেমনি আলু সংরক্ষণের অভাবে আলু চাষিরা বিপাকে এটাও সত্যি। তাইতো আলু উপর চাপ না দিয়ে ভাত এর উপর চাপ পরাটাই সাভাবিক মনে করছেন, পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণাঞ্চলে ক্রেতা এবং কয় শত আলু চাষি। সরজমিন এবং বিভিন্ন প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, পটুয়াখালীর রাংগাবালী ও গলাচিপা উপজেলার মোট ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে বিগত বছরে আলু চাষের লক্ষ মাত্রা ছারিয়ে গেলেও, ক্রমেই আলু চাষিরা নাঙ্গলের হাল ছেরে বর্তমানে চাষিরা এখন অটোবাইক কিংবা বিভিন্ন পেষায় নিয়জিত হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এর কারন খুজতে জানা যায়, যাতায়াত ব্যবস্থার বেহাল দশা, ঝড় বন্যা আর বৈরী আবহাওয়াগত কারনে ঋতু পরিবর্ত সহ আছে নানান বিরম্বনার শিকারে পরতে হয় আলু চাষিদের। অপর দিকে ( ক্লোল্ড ষ্টোর) হীমাগার নাথাকার কারনে, প্রতি বছর আলু চাষে অনেক খরচ করেও, ন্যায্য মূল্যায়ন না পেয়ে, আলু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও, সরকারি পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোন হীমাগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কোন কর্তৃপক্ষ। কৃষকগোষ্ঠী প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, দক্ষিণাচলে আলু চাষের ব্যাপক বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলোও, আলু চাষ করে প্রতি বছর’ই কৃষকদের বিপাকে পরতে হয়। রাংগাবালী উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক কৃষকশ্রেণী বলেন, বিগত বছরে আমন, ইরি মৌসুমের পরেই আলু বা তরমুজ চাষের জন্য ব্যস্ততার মধ্যেই থাকতাম। কিন্তু প্রতিনিয়ত খরচ বারছে, বারছেনা কৃষি ফলন। যা একটু পুষিয়ে নেয়া যেতো, তা আবার কাঁচা মালামাল রাহি বা মৌজুত করার কোন স্থান নাই, তাই অনেক কৃষক কাঁচা মালামাল পচেঁ যাওয়ার ভয়ে লাভ জনক হলেও তা করছেনা, ফলে কৃষিকাজ ছেরে পারি জমায়ীছে রাজধানী সহ বিভিন্ন অঞ্চলে। এবিষয়ে রাংগাবালী উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অভার সম্ভাবনাময় রাংগাবালী উপজেলায় মোট ৩৫ হাজার ৭ শত ৭৭ হেক্টর জমির মধ্যে আমন ও ইরি চাষাবাদ করা হলেও, আলু সংরক্ষন হিমাগার না থাকায়, আলু চাষের সুযোগ থাকা সত্যেও তা করতে পারছেনা বলে প্রান্তিক কৃষকগোষ্ঠীর সাথে কথা বলে জানা যায়। এবিষয়ে, রাংগাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ জুয়েল প্রতিবেদককে জানান, আসলে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে অধিক কৃষি আবাদি ভূমি, কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা ও হিমাগার নাথাকায়, আলু চাষে উৎসাহী না হয়ে, রবি মৌসুমে তমুজ চাষে বেশি উৎসাহি কৃষকশ্রেণী। অন্যদিকে পটুয়াখালী উপ-পরিচালক খামার বাড়ি সুত্রে জানা যায়, হিমাগার বা ক্লোল্ড ষ্টোরের বিষয়পরায়ণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষে প্রতি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আলোচনা হয়, কিন্তু সরকারের পাশাপাশি শিল্পপতিরা এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে জানা যায়। দেশের কৃষি উন্নায়নে সরকারের পাশাপাশি শিল্পপতিরা শিল্পপ্রয়োগে এগিয়ে আসবেন এটাই দক্ষিণাঞ্চলে প্রান্তিক কৃষকের দাবি।
