আল কাদরী কিবরীয়া সবুজ, গাইবান্ধা সংবাদদাতা
গাইবান্ধা জেলার শহরে-বন্দরে ও গ্রাম-গঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে কিন্ডারগার্ডেন স্কুল । ভর্তির নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য। তারপর ভর্তি শেষ হতে না হতেই বই কিনা থেকে শুরু করে পোষাক তৈরি পর্যন্ত অবিভাবকদের হতে হয় চরম হয়রানির শিকার। এক শ্রেণির শিক্ষক নিজেদের ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে তুলছে চমকপ্রদ নামে কিন্ডার গার্ডেন। দেখার কেউ নেই? হয়রানীর শিকার অভিভাবকদের অভিযোগ, জাতীয় শিক্ষানীতিতে কিন্ডার গার্ডেন গড়ে তোলার কোন নিয়মনীতি না থাকায় বাণিজ্যিক হারে গড়ে উঠেছে এসব কিন্ডার গার্ডেন।
একাধিক সুত্রে জানা গেছে, কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষকরা নিজেদের পছন্দমত লাইব্রেরি, স্কুল ড্রেসের নামে টেইলার্স, খাতা-কলম থেকে শুরু করে সবখানে চলছে কমিশন বাণিজ্য। যেখানে বেশি কমিশন পান সেখানে শিক্ষার্থীদের পছন্দ দেন কিন্ডার গার্ডেন প্রধানরা। বার্ষিক পরীক্ষার শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধরনা দিতে শুরু করেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। তাদের যোগসাজসেই ঘটে অন্তরালের সব ঘটনা।
প্রতিষ্ঠানের বইয়ের বেলাও এমন ঘটনাটি ঘটে থাকে। বই প্রকাশকরা প্রতিনিধিদের দ্বারা কিন্ডার গার্ডেনগুলোতে যোগসাজস করে কিন্ডার গার্ডেন প্রধানদের পছন্দমত লাইব্রেরিতে প্রেরণ করেন অভিভাবকদের। লাইব্রেরিও তখন সুযোগের সদ ব্যবহার করতে একটুও দ্বিধাবোধ করনে না। কিন্ডার গার্ডেনের এইসব হয়রানি দেখার যেন কেউ নেই। শিক্ষা বিভাগ কানে দিয়েছে তুলো চোখে দিয়েছে ধুলো! কিন্ডার গার্ডেনের যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করে শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সচেতন সুধীমহল। তারা আরো বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় সরকারিভাবে কিন্ডার গার্ডেন মনিটারিং এর জন্য মনিটরিং বোর্ড গঠন ও অনিয়ম-দুর্নীতি দুর করার জন্য আইন বাস্তবায়ন জোর দাবি জানান।