নিয়ামুর রশিদ শিহাব,গলাচিপা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রাচীন বর্বরতাকে হার মানার মত ঘটনা ঘটেছে গলাচিপা উপজেলার লোন্দা গ্রামে। শনিবার গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুত্বর আহত আলো বেগম হাউমাউ করে কেঁদে দেন সাংবাদিকদের সাথে।
সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোন্দা গ্রামে আলো বেগমকে লাথি মেরে ও পিটিয়ে বিবস্ত্র করে দেয় পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত আলো বেগমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আলো বেগম জানান, তার স্বামী খোকন ফকির অন্যের সাথে মাছ ধরার জন্য প্রায়ই সাগরে যেত। পাশ্ববর্তী ইব্রাহিম চকিদারসহ তার পুত্ররা আলোসহ তার মেয়েকে সর্বত্র অসৈজন্য মূলক আচরন করত। গত মঙ্গলবার এ সব ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্বামী খোকন ফকিরের অনুপস্থিতিতে তার বাড়ির পাশ্ববর্তী পরি বেগম(৪৮),লালন ফকির, রনি ফকির, রুমাসহ আরও অনেকে দলবদ্ধ হয়ে হামলা করে। এ সময় আলো বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে আঘাত করে ও পড়নের কাপড় জোর করে খুলে বিবস্ত্র করে টেনে হিছড়ে নিয়ে যায় এবং সাথে সাথে আলো বেগম জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আলো বেগম আরো জানান, অভিযুক্তদের কারনে তার মেয়েকে বাল্য বিবাহ দিতে হয়েছে । এরা এলাকায় গাঁজা মদ খেয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। আলো বেগমকে চাপা মার দেয়ার কারণে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্তরা জানান, তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদি জানান, আলো বেগমকে মারধর ও বিবস্ত্র করার ঘটনা সত্য। তাকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল । থানা থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয় রুহুল আমিন চকিদারকে ঘটনার পরের দিন ঘটনাস্থলে পৌছে গিয়ে পড়নের কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।
